গোল্ডেন গ্লোব প্রতিযোগিতায় হুমায়ূন আহমেদের ‘ঘেটুপুত্র কমলা’
নান্দাইল নিউজ বিনোদন রিপোর্ট
:
মর্যাদা সম্পন্ন
চলচ্চিত্র পুরস্কার গোল্ডেন গ্লোব প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশের
চলচ্চিত্র। শনিবার দুপুরে হলিউড ফরেনপ্রেস এসোসিয়েশন আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী
এই প্রতিযোগিতার সত্তরতম আসরে এ বছর প্রদর্শিত হবে বাংলাদেশের নন্দিত চলচ্চিত্রকার
হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্র ‘ঘেটুপুত্র কমলা’।
ইমপ্রেস টেলিফিল্ম
প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি নিবেদন করেছে প্রাণ ঝালমুড়ি। প্রদর্শনীর পূর্বে ওইদিন দুপুর ১টায় লস অ্যাঞ্জেলেস বেভারলি হিলস উইলশিয়ার মিলনায়তনে
আগত অতিথিদের আপ্যায়িত করা হবে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবার দিয়ে। প্রতিযোগিতার প্রথা অনুযায়ী দুপুরের খাবারের পর দুপুর ২টায় প্রদর্শনী শুরু হবে। প্রতিযোগিতার সামগ্রিক প্রচারণার জন্য পিআর এজেন্সি মিডিয়া পানকে নিয়োগ করা হয়েছে। তারা ঘেটুপুত্র কমলার হলিউড ও লস অ্যাঞ্জেলসে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় নন্দিত চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত
শেষ চলচ্চিত্র ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ মুক্তি পায় গত ৭ই সেপ্টেম্বর। মুক্তির পর বাংলাদেশে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে চলচ্চিত্রটি প্রশংসিত হয়। হুমায়ূন আহমেদ যুক্তরাস্ট্রে চিকিৎসারত অবস্থায় শেষবারের মতো দেশে এসেছিলেন গত
মে মাসে। তখন তিনি তার শুভানুধ্যায়ী, বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীদের
নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সে ছবিটির বিশেষ প্রদর্শনী উপভোগ করেছিলেন।
ছবিটির কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন হুমায়ূন আহমেদ। অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়,
মুনমুন আহমেদ, মাসুদ আখন্দ, তমালিকা কর্মকার, শামিমা নাজমিন, প্রাণ রায়, কুদ্দুস বয়াতি ও তার দল, অনি, প্রান্তি, পুতুল, আব্দুলাহ রানা, রফিকুল ইসলাম, এহসান প্রমুখ। ঘেটুপুত্র কমলা’র কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিশুশিল্পী মামুন। ছবির শুটিং হয়েছে হবিগঞ্জে। ছবির চিত্রগ্রহণ করেছেন
মাহফুজুর রহমান খান। সম্পাদক ছলিম উল্লাহ ছলি। আবহসংগীত ইমন সাহা। সংগীত পরিচালক মকসুদ জামিল মিন্টু ও এসআই টুটুল। কণ্ঠশিল্পী ফজলুর রহমান বাবু, শফি মণ্ডল ও প্রান্তি। কোরিওগ্রাফি মেহের আফরোজ শাওন। শিল্প নির্দেশক মাসুম রহমান। রূপসজ্জা খলিলুর রহমান। পোশাক পরিকল্পনা এসএম
মাঈনুদ্দিন ফুয়াদ। শব্দগ্রহণ ও পূর্ণ শব্দ সংযোজন ধ্বনি চিত্র লি.। সম্পাদনা লীলাচিত্র। ছবির গল্পে দেখা যায়,
প্রায় দেড়শ বছর আগে হবিগঞ্জ জেলার জলসুখা
গ্রামের এক বৈষ্ণব আখড়ায় ঘেটুগান নামে নতুন সংগীত ধারা সৃষ্টি হয়েছিল। মেয়ের পোশাক পরে কিছু রূপবান কিশোর নাচগান করতো। এদের নামই ঘেটু। গান হতো প্রচলিত সুরে,
যেখানে উচ্চাঙ্গ সংগীতের প্রভাব ছিল স্পষ্ট। অতি জনপ্রিয় এই সংগীত ধারায় নারী বেশি কিশোরদের উপস্থিতির কারণেই এর মধ্যে অশ্লীলতা
ঢুকে পড়ে। বিত্তবানরা এসব কিশোরকে যৌনসঙ্গী হিসেবে পাওয়ার জন্য লালায়িত
হতে শুরু করেন। একসময় সামাজিকভাবে বিষয়টা স্বীকৃতি পেয়ে যায়। হাওর অঞ্চলের শৌখিনদার মানুষ জলবন্দি সময়টায় কিছুদিনের জন্য হলেও ঘেটুপুত্র নিজের
কাছে রাখবেন এই বিষয়টা স্বাভাবিকভাবে বিবেচিত হতে থাকে। শৌখিনদার মানুষের স্ত্রীরা ঘেটুপুত্রকে দেখতেন সতীন হিসেবে।
(সূত্র মানব জমিন)